স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। ৮১ দিন পর গত মঙ্গলবার রাতে ওই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম বাসায় আছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে গতকাল বিকেলে তার বাসায় যান মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা: আবদুল্লাহ আল মামুন। রাত ৮টা পর্যন্ত অন্য কোনো চিকিৎসক বেগম জিয়ার বাসায় যাননি। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে তার বোন সেলিমা ইসলাম রাত ৮টায় ফিরোজায় প্রবেশ করেন।
এ দিকে খালেদা জিয়া বাড়িতে যাওয়ার আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে তার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা: শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, খালেদা জিয়া এখনো পুরোপুরি সুস্থ না হলেও মহামারীর এই সময়ে আবার কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাকে বাসায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে হাসপাতালে ফেরত আনা হবে। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও কেন মেডিক্যাল বোর্ড ছাড়পত্র দিচ্ছেÑ সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা: এফ এম সিদ্দিকী বলেন, উনার ব্লিডিং আপাতত বন্ধ হলেও তার অসুখের ট্রিটমেন্ট সেভাবে হচ্ছে না। এখন উনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জানুয়ারি মাসে এই হাসপাতালে (এভারকেয়ার) ৩৮০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উনার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছেÑ এই মুহূর্তে উনার কন্ডিশন যেহেতু স্টেবল, সেহেতু আমাদের তত্ত্বাবধায়নে বাসায় রেখে উনার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।